R G Kar Supreme Court Case: সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ: রাজ্যের কাজ কতদূর এগিয়েছে জানতে চাইল শীর্ষ আদালত, বিস্তারে পড়ুন
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার ষষ্ঠ শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে এই শুনানি চলে। মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তের অগ্রগতির পাশাপাশি, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ কতদূর এগিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, ‘‘রাজ্য সরকারকে ১ নভেম্বরের মধ্যে ইন্টিগ্রেটেড হেলথ মেডিক্যাল সিস্টেম চালু করতে হবে এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন সম্পূর্ণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’’
আইনজীবী করুণা নন্দী আদালতে জানান, ‘‘কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে সিভিক ভলান্টিয়ার এবং সাধারণ মানুষকে আইনশৃঙ্খলার কাজে নিযুক্ত করা হচ্ছে। সিকিউরিটি অডিট কমিটিতে সিনিয়র ডাক্তারদের অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করছি।’’
রাজ্যপক্ষ আদালতে জানিয়েছে যে, রোগী কল্যাণ সমিতি নতুন করে গঠন করা হয়েছে। ইন্টিগ্রেটেড হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে এবং আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে অনলাইন বেড রেফারেল সিস্টেম কার্যকর করা হবে।
আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী আরও জানান, ‘‘আরজিকরের প্রায় ৯০-৯৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৯ ও ১৪ অক্টোবর তারিখে সিবিআইয়ের কাছ থেকে পরিকাঠামো আপডেট করার ছাড়পত্র পাওয়া গেছে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আরজিকরের বাকি কাজ শেষ হবে।’’
সিবিআই জানতে চায়, রেস্টরুম ও ডিউটি রুমের জন্য বায়োমেট্রিক কী অবস্থায় আছে? এর উত্তরে আইনজীবী দ্বিবেদী বলেন, ‘‘প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি প্রোকিউর করা হয়েছে এবং দ্রুতই সেগুলি ইনস্টল করা হবে।’’
শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের ফলে, আরজি কর হাসপাতাল ও অন্যান্য সরকারি হাসপাতালগুলিতে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজের অগ্রগতির উপর বাড়তি নজরদারি নিশ্চিত করা হয়েছে।